শেখ নাসির উদ্দিন, খুলনা প্রতিনিধি: খুলনার বটিয়াঘাটায় বাড়িতে ঢুকে দুই বোনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সে সময় ঘরে থাকা ২২ মাসের শিশুকে পানিতে চুবিয়ে রাখা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনা শনিবার মধ্যরাতের।
তবে রোববার(১৫ মে) রাতে মেয়েদুটি ও শিশুটিকে হাসপাতলে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। ধর্ষিতা স্কুলছাত্রীর মা জানান, ধর্ষণের ঘটনা শনিবার মধ্যরাতের। তবে রোববার রাতে মেয়েদুটি ও শিশুটিকে হাসপাতলে ভর্তি করলে বিষয়টি জানাজানি হয়। পুলিশও যায় সে সময়।
তিনি বলেন, ‘শনিবার বিকেলে আমি বোনের বাড়ি ডুমুরিয়ায় গিয়েছিলাম। আমার স্বামী বাগেরহাটে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন। এ সময়ে বাড়িতে ওরা দুই বোন ছিল। মধ্যরাতে ৭ জন আমাদের বাড়িতে যায়। তাদের কয়েকজন বাইরে পাহারায় থাকে আর কয়েকজন ঘরে ঢুকে দুই মেয়েকে হাত ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে।
‘ভোররাতে মেয়ে আমাকে ফোন করে বিষয়টি জানায়। আমরা গিয়ে তাদের মেডিক্যালে নিয়ে আসি। ঘটনার সময় বড়মেয়ের সন্তানের গলায় ছুরি ধরা হয়েছিল। পরে তাকে পানিতে ডুবিয়ে রাখে।
অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে খুলনা শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বড়মেয়ে সেখানে গেছে ছেলে নিয়ে। সেও বেশ অসুস্থ।’ বটিয়াঘাটা থানার তদন্ত পরিদর্শক জাহিদুর রহমান জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগ পেয়ে হাসপাতালে গেছেন। আইনি ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
তিনি জানান, ধর্ষণের অভিযোগ তোলা দুজন খালাতো বোন। একজনের বয়স ১৩, আরেকজনের ২৪। বড় বোনের সম্প্রতি বিয়ে বিচ্ছেদ হয়েছে। ২২ মাসের সন্তান নিয়ে তিনি খালার বাড়ি এসেছিলেন।
ছোট মেয়েটি স্কুলছাত্রী। তিনি বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনাটি জানতে পেরে আমি নিজে হাসপাতালে গিয়েছিলাম। তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। অভিযুক্তদের অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।